পটেনশিয়াল আইটি https://www.potentialit.xyz/2024/04/prizebond-checker.html

Prize Bond Checker Tool

Prize Bond Checker Tool ব্যবহারের নিয়ম

  • আপনি একবারে একটি বা একাধিক নম্বর সার্চ করতে পারেন। একটি নম্বরের জন্য অনুগ্রহ করে শুধুমাত্র নম্বরটি টাইপ করুন (সিরিজ নয়) এবং তারপরে "Search" বাটনে ক্লিক করুন।
  • একাধিক সংখ্যার ক্ষেত্রে, যদি আপনার কাছে ক্রমিক সংখ্যা থাকে, তাহলে আপনি কেবল এইভাবে টাইপ করে সমস্ত নম্বর অনুসন্ধান করতে পারেন: ১ম সংখ্যা ~ শেষ সংখ্যা। যেমনঃ 0056785~0056789
  • অথবা যদি আপনার একাধিক প্রাইজবন্ড থাকে যা ক্রমিকভাবে সংগঠিত না হয়, তাহলে আপনাকে কমা (,) দ্বারা আলাদা করে সমস্ত নম্বর টাইপ করতে হবে যেমনঃ 0045897, 0412579, 3417842।
  • অথবা আপনি 0056785~0056789, 0045897, 0412579, 3417842 হিসাবে নম্বর টাইপ করতে পারেন।

বি.দ্রঃ সার্চ বক্সে অবশ্যই ইংরেজিতে নম্বর ইনপুট দিতে হবে।


সার্চ বাটনে ক্লিক করার পর যেভাবে ফলাফল দেখতে পারবেনঃ 

১. যদি বিজয়ী নম্বরের সাথে আপনার প্রদান করা কোন নম্বরের মিল পাওয়া যায় তবে নিচে সংযুক্ত ছবির মতো ফলাফল প্রদর্শিত হবে।

২. অন্যদিকে যদি বিজয়ী নম্বরের সাথে আপনার প্রদান করা কোনও নম্বরের মিল না পাওয়া যায় তবে "Sorry, the given bond number does not match any prize." এই লেখাটা প্রদর্শিত হবে।

বি.দ্রঃ আরও স্পষ্ট বুঝতে নিচের ছবি দুইটি দেখুন।

Prize Bond Checker
Prizebond Checker

আশা করি পটেনশিয়াল আইটি প্রাইজবন্ড চেকার অ্যাপ কীভাবে ব্যবহার করবেন তা বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন প্রাইজবন্ড সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

প্রাইজবন্ড হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প যেখানে একজন বিনিয়োগকারী যেকোনো সময় বিনিয়োগ করতে পারবেন। এছাড়া যেকোনো সময় প্রাইজবন্ড ফেরত প্রদান করে আসল অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। 

এই প্রকল্পে কোন মুনাফা বা সুদ প্রদান করা হয় না। এই ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের বিভিন্ন মূল্যমানের পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইজবন্ড ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম চালু হয়। বাংলাদেশে তৎকালীন সময় চালুকৃত প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা; পরে ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু করার পর সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার এই স্কিমটি চালু করে। প্রাইজবন্ডের অন্যতম লক্ষ্য হলো জনসাধারণের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি করা। 

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ আহরণ করা অনেকটা সহজ। প্রাইজবন্ড বিক্রির মাধ্যমে সরকার সরাসরি জনগণের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। 

প্রাইজবন্ড সম্পর্কে সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর জেনে নেওয়া যাক - 

১. প্রাইজবন্ড কিনতে কি কোন আবেদন করতে হয়? 

উত্তরঃ না, প্রাইজবন্ড কিনতে কোন আবেদন করতে হয় না। যে কোন ইস্যু অফিসে উপস্থিত হয়ে নগদ অর্থের বিনিময়ে কেনা এবং ভাঙ্গানো যায়। 

২. কোথায় প্রাইজবন্ড কেনা এবং ভাঙ্গানো যায়? 

উত্তরঃ আপনি নিচের চারটি স্থানে প্রাইজবন্ড কিনতে এবং ভাঙ্গাতে পারবেন। যথাঃ

১. বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস (ময়মনসিংহ ব্যতীত);

২. বাংলাদেশের সকল তফসিলি ব্যাংক (শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক বাদে);

৩. জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো অধিদপ্তরের অধীনস্থ সকল অফিস এবং 

৪. ডাকঘর। 

৩. প্রাইজবন্ডের ড্র কখন অনুষ্ঠিত হয়? 

উত্তরঃ ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ড্র বছরের চারবার অর্থাৎ তিন মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্ধারিত তারিখে কোন সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্য দিবসের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। 

৪. বিক্রিত সকল প্রাইজবন্ড কি ড্র'র আওতাভুক্ত?

উত্তরঃ না, বিক্রিত সকল প্রাইজবন্ড ড্রর আওতাভুক্ত নয়। বন্ডে নির্দেশিত বিক্রির তারিখ হতে দুই মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ডটি ড্রর আওতায় আসবে। 

৫. কোথায় ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং কারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করে? 

উত্তরঃ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কমিটি ড্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। 

৬. ড্র কোন পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়? 

উত্তরঃ একক সাধারণ পদ্ধতিতে ড্রপ পরিচালিত হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর)।বাজারে প্রচলিত প্রাইজবন্ড সিরিজসমূহ এই ড্রয়ের আওতাভুক্ত। 

৭. প্রাইজবন্ডের মোট সিরিজ সংখ্যা এবং প্রতিটি সিরিজে পুরস্কারের সংখ্যা মোট কয়টি? 

উত্তরঃ বর্তমানে প্রাইজবন্ডের মোট সিরিজ সংখ্যা ৪৬ টি এবং প্রতিটি সিরিজের জন্য ৪৬ টি পুরস্কার রয়েছে।

৮. ড্র অনুষ্ঠানের কতদিনের মধ্যে পুরস্কার দাবি করতে হয়?

উত্তরঃ পুরস্কার দাবির সময়সীমা দুই বছর। এরপর পুরস্কার দাবি করা যায় না এবং উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়। 

৯. কোথায় প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ দাবি করা যায়? 

উত্তরঃ ২নং প্রশ্নে বর্ণিত চারটি স্থানে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রাইজবন্ডের পুরস্কার দাবি করতে পারবেন। 

১০. দাবি করার কতদিনের মধ্যে পুরস্কার এর অর্থ পাওয়া যায়? 

উত্তরঃ পুরস্কার দাবির তারিখ হতে সাধারণত দুই মাসের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ পাওয়া যায়। 

১১. পুরস্কার এর অর্থ কি নগদ দেওয়া হয়? 

উত্তরঃ না। পুরস্কারের অর্থ গ্রাহকের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হয়। 

১২. প্রাইজবন্ড পুরস্কারের উপর আয়কর প্রযোজ্য আছে কি? 

উত্তরঃ প্রাইজবন্ড পুরস্কার এর উপর ২০% আয়কর প্রযোজ্য। 

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এখনি কমেন্ট করুন

0 জন কমেন্ট করেছেন

দয়া করে কমেন্ট নীতিমালা পড়ুন emoji

পটেনশিয়াল আইটি কী?