দাঁত শিরশির করার কারণ ও সমাধানঃ দাঁতের স্নায়বিক সমস্যার সহজ ব্যাখ্যা

নবজাতকের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন?

দাঁত শিরশির করার অনেক রয়েছে তবে আছে সমাধানও। ঠান্ডা বা গরম খাবার খাওয়ার সময় অস্বস্তি লাগলে বুঝবেন দাঁতের যত্ন দরকার। মিষ্টি বা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার সময় দাঁতে সংবেদনশীলতা অনুভব করা স্বাভাবিক। এসবের কারণ হলো ডেন্টিনাল হাইপারসেন্সিটিভিটি।

দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার

দাঁতের সবচেয়ে বাইরের স্তর হলো এনামেল, যা শরীরের সবচেয়ে কঠিনতম অংশ। তার ঠিক পরের স্তর অত্যন্ত সংবেদনশীল - যার নাম হলো ডেন্টিন। দাঁত শিরশির হওয়ার পিছনে এর ভূমিকা আছে। এসিডিক খাবার বা পানীয় এনামেল পাতলা করতে পারে যা দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে। এই অনুভুতি এক থেকে একাধিক দাঁতে হতে পারে।

আসুন জেনে নেই এর কারণ - 

১) দাঁতের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে।

২) দাঁতের মাড়ি নিচে সরে গেলে।

৩) যেসব অভ্যাস এনামেলকে প্রভাবিত করতে পারে—

  • অতিরিক্ত এসিডিক খাদ্য গ্রহন(লেবু, মাল্টা, ভিনেগার ইত্যাদি)
  • পরিপাকতন্ত্রের পীড়া যেমন - পেপটিক আলসার ডিজিজ, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ।
  • শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা।
  • উপরে নিচে ব্রাশ না করে আগে পিছে ব্রাশ করা।
  • কালো দাঁতের মাজন ব্যবহার করা।

৪) দাঁতে ক্যাভিটি/গর্ত হয়ে গেলে।

৫) দাঁতের ফিলিং পড়ে গেলে।

৬) কখনো কখনো কোন দন্ত চিকিৎসার পরে যেমনঃ রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট, ফিলিং,স্কেলিং করার পরে।

৭) বয়সজনিত কারণে।

৮) দীর্ঘসময় ধরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করার কারণে।

 ৯) মিষ্টিজাতীয় টকজাতীয় খাদ্য ও পানীয়। 

১০) দীর্ঘদিন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলি করা। 

দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়

বিভিন্ন কারণে দাঁত শিরশির করতে পারে। সেই কারণের সাথে সাথে এর চিকিৎসাও ভিন্ন ভিন্ন। তবে কারো দাঁতে শিরশির অনুভুত হলে দেরি না করে একজন বি.ডি.এস ডিগ্রীধারী ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ৬-১২ মাস অন্তর দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কথায় আছে না? আঁতে তিতা দাঁতে নুন, উদর ভরো তিন কোণ।

সুতরাং প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার কুলি করতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম পাবেন এবং ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

দাঁত ব্রাশ করার সঠিক সময় কখন?

দাঁত ভালো রাখতে হলে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করার কোন বিকল্প নেই। দাঁতের যত্নে দু’বেলা ব্রাশ করা আবশ্যক, সকাল এবং রাত। 

সকালে কখন ব্রাশ করবো? নাশতার আগে নাকি পরে?

ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করা ভালো তবে খাবারের পর আবার ব্রাশ করলে দাঁতের যত্ন আরও ভালো হয়। নাশতার পরে দাঁতে খাদ্যকণা জমে, তাই নাশতা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করলে দীর্ঘসময় দাঁত পরিষ্কার থাকে। যার কারনে দাঁতে জীবাণুর আক্রমন কমে যায়। 

অনেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যারা রাতে ঘুমানোর পূর্বে এবং সকালে নাশতা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করেন তাদের দন্ত রোগের আধিক্য অনেক কম। সুতরাং সকালে নাশতা খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে এবং রাত ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। 

লেখক - ডাঃ সানজিদা রশিদ

বি.ডি.এস (সিইউ), পিজিটি (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ)

ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন

শেয়ার
আজকের সেরা খবর গতকালের সেরা খবর
7 জন মতামত দিয়েছেন
কমেন্ট করতে ক্লিক করুন
comment url
  • Akbar Ali
    Akbar Ali ৮:৫৫ AM

    খুব ভালো উপদেশ। দাঁতের জন্য ভালো ব্রাশ কোনটা?

  • নামহীন
    নামহীন ১২:৪২ AM

    ধন্যবাদ। ডাক্তারের লেখনী ভালো।

    • নামহীন
      নামহীন ১০:৫৬ AM

      sotik

  • Fatema Tuz Juhora
    Fatema Tuz Juhora ১০:৫০ AM

    Great suggestion👍. Is she available for online/offline appointment?

  • নামহীন
    নামহীন ১০:৫২ AM

    দাত সোজা করার জন্য ক্লিপ ব্যবহার করা কি হারাম?

  • Siam
    Siam ১:০০ AM

    Very informative. Which toothbrush is good in bd?

  • SEO
    SEO ৬:৪৫ AM

    চেম্বারে দেখাবো কিভাবে? ঢাকা বসে?
    উনার সম্মানী কত?